এক বিবাহিত যুবক, কঠিন রোগে মৃত্যু শয্যায় তার স্ত্রীকে ডাকলেন, কিন্তু…

Daftar isi [Tampil]


এক বিবাহিত যুবক, কঠিন রোগে মৃত্যু শয্যায় তার স্ত্রীকে ডাকলেন।তার চোখ দিয়ে অনুশোচনার অশ্রু ঝরছে।যুবকের স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন,এবং এটিই তাদের প্রথম সন্তান!

সে স্ত্রী কে বললো: দেখো,আমি সারা জীবনে নামাজ-রোজা করিনি!আজ মৃত্যু সময়ে ভুল ভেঙ্গে গেছে,কিন্তু আমি নিরুপায় আমার আর কিছু করার সময় সুযোগ হলো না।

যদি তোমার গর্ভের সন্তান বেঁচে থাকে,বড় হয় তাহলে তুমি তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিও।শুনেছি সন্তানের উসিলায়ও বাবা মা বেহেশতে যেতে পারেয়ে বললেন,তোমার কথাই রাখবো!

দু দিন পর যুবক মারা গেলেন।এর কয়েক দিন পর তার স্ত্রীর একটি ছেলে জন্ম নিলো!অনেক কষ্টের মাঝে যখন
ছেলেটির বয়স ছয় বছর পুর্ণ হলো তার মা তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিলেন!
প্রথম দিন মাদ্রাসায় শিক্ষক তাকে একটি আয়াত শিখালেন।

আয়াতটি হলো: ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!
(পরম করুনাময় মহান আল্লাহ্ তায়ালার নামে শুরু করছি! )
মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী স্বামীর কবরের কাছে জিয়ারতে গেলেন!
ছেলেকে কবরের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে মা বললেন,ঐ তোমার বাবার কবর।ওখানে গিয়ে তোমার বাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে!

(মাদ্রাসায় পড়া শিশুরা প্রায় সব সময় তাদের শিখিয়ে দেয়া আয়াত বা কালাম এমনি এমনি পড়তে থাকে)
এত ছোট্ট শিশু কিভাবে দোয়া করতে হয়,কিছুই জানে না।কিন্তু মাদ্রাসায় শিখানো জীবনের প্রথম আয়াতখানা বার বার কবরের সামনে তিলাওয়াত করতে লাগলো।

ওই ছোট্ট মুখের তিলাওয়াতের এমন শক্তি,আমার আল্লাহর দরবারে বিনা বাধায় পৌঁছে গেলো।মালিকের রহমতের দরিয়ায় বাঁধভাঙা জোয়ারের ডাক এসে গেলো!

মহান আল্লাহ্ তায়ালা আজাবের ফেরেশতাদের বললেন,এই মুহুর্তে ওই কবরবাসীর কবর আজাব বন্ধ করে দাও!
ফেরেশতারা বললোঃ হে দয়াময় পরোয়ারদিগার এই লোকটির আমলনামায় এমন কী পুণ্য পাওয়া গেলো?

যে তার জন্য নির্ধারিত কঠিন কবরের আজাব ক্ষমা করে দেয়া হলো?
ফেরেশতারা শোনো:
কবরের উপরে একটা অবুঝ শিশু বার বার তিলাওয়াত করছে,”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”!
তিলাওয়াতকারী এই কবরবাসীর ওয়ারিশ,তার অবুঝ সন্তান।সে স্বাক্ষী দিচ্ছে আল্লাহ্ রাহমানির রাহিম!
-আল্লাহ্ পরম দয়ালু।

আমি যদি কবরবাসীকে ক্ষমা না করি,তাহলে আমি কেমন দয়ালু? (সুবহানাল্লাহ)
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।
বাবা মার জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন।

0 Response to "এক বিবাহিত যুবক, কঠিন রোগে মৃত্যু শয্যায় তার স্ত্রীকে ডাকলেন, কিন্তু… "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel